খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে , কোনো ভাষায় বর্ণ বা অক্ষরের নতুন একটি সাদৃশ্যপূর্ণ সেট তৈরি, যা অনুমোদিতভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে এবং তা জনসাধারণের মাঝে প্রচলিত হয়ে গেলে, জনপ্রিয় নতুন সে বর্ণের ডিজাইনের যে রূপ দেয়া হয়, তাই টাইপ-ফেইস ডিজাইন।
একজন ফন্ট ডিজাইনার ভাষা বা বর্ণের প্রচলিত রীতি মাথায় রেখে টাইপ-ফেইস ডিজাইন করে নতুন নতুন ফন্ট তৈরী করেন, যেন সাধারণ মানুষ সেই ফন্ট নিজেদের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
যেহেতু আমরা বাংলা টাইপ-ফেইস বা ফন্ট ডিজাইন নিয়েই কথা বলছি, সেহেতু বাংলা ফন্ট তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কেও আমাদের সম্যক একটা ধারণা থাকা দরকার।
এ অধ্যায়ে আমরা জানবো, টাইপ-ফেইস ডিজাইনের আদ্যোপান্ত।
প্রথমত, আমাদের জানতে হবে, অক্ষর এর অ্যানাটমি (Anatomy), অক্ষর এর শারীরিক অবস্থান বা গঠন সম্পর্কে এবং কিভাবে টাইপ-ফেইস ডিজাইনের ধারণা তৈরি হবে এবং কিভাবে টাইপ-ফেইস বা ফন্ট নকশা করতে হবে। তাছাড় া আমরা আরো জানবো, কতো উপায়ে ফন্ট সৃষ্টি করা সম্ভব এবং কতগুলো অক্ষর তৈরী করতে হবে ফন্ট ডিজাইন করতে গেলে ইত্যাদি। চলুন তবে, বিষয়গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা যাক।